ঈদুল আজহা নামাজের নিয়ম ও নিয়ত | কুরবানি ঈদ
ঈদ মোবারক! ক্যাম্পাস প্রতিদিন এর সকল পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের আয়োজন। আজকে আমরা আমাদের আয়োজনে ঈদ মোবারক পিকচার, ঈদ মোবারক ছবি, ঈদ মোবারক ফটো কালেকশন, ঈদ মোবারক মেসেজ, ঈদ মোবারক উক্তি, ঈদ মোবারক অনুচ্ছেদ, ঈদ মোবারক স্ট্যাটাস, ঈদ মোবারক ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রভৃতি বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। আধুনিক যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা বন্ধ-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, দেশ-বিদেশের সকলের কাছে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে আপনাদের জন্যই আমাদের এই আয়োজন, আজকের এই পোস্টে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হলো:ঈদের নামায পড়ার সঠিক নিয়ম
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ। বছরে দু’টি ঈদ উদযাপন করে মুমিন মুসলমান। ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। ঈদের নামাজ বছরে দুবার পড়ার কারণে অনেকেই নামাজ পড়ার নিয়ম ভুলে যান। সে কারণেই মুমিন মুসলমানের জন্য ঈদের নামাজের নিয়ম জেনে নেয়া জরুরি।
ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ কুরবানি। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এ ঈদ পালিত হয়। সে হিসেবে আগামী ১০ জুলাই পবিত্র কুরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।
Table of Contents
জেনে নিন: কিভাবে পড়বেন ঈদুল আজহা ঈদের নামায ?
ঈদের নামাজ মূলত উন্মুক্ত স্থানে আদায় করা উচিৎ। কারন উন্মুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করা সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করতেন। তবেঁ যদি উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা না থাকে, কিংবা কোন সমস্যা ” ঝড় , বৃষ্টি , প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি ” হয় তবে মসজিদেও ঈদের নামাজ পড়া যাবে।
কুরবানির ঈদের নামাজ সকাল সকাল আদায় করা হয়। ঈদের নামাজের পরই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পশু কুরবানি করতে হয়।
ঈদের নামাজ ২ রাকাআত। ঈদের ২ রাকাআত নামাজে অতিরিক্ত ৬ তাকবির দিতে হয়।
★ ঈদের নামায পড়ার সঠিক নিয়ম ★
ঈদের নামাযের বাংলা নিয়ত- আমি ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহার দু’রাকাত ওয়াজিব নামায ছয় তাকবিরের সাহিত এই ইমামের পিছনে কিবলামুখি হয়ে আদায় করছি “আল্লাহু আকবার” ।
উল্লেখ্য: অবশ্যই ঈদের নামাজ তা জামাআতের সঙ্গে পড়তে হবে। জুমআ নামাজ এর জন্য যে শর্ত প্রযোজ্য, ঈদের নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রেও সে একই শর্ত প্রযোজ্য। সেই সাথে প্রয়োজন খুতবা দেয়া।
ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামত নেই।
– প্রথম রাকাআতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়া।
প্রথম রাকাত: – তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বেঁধে (ছেড়ে না দিয়ে) ছানা পড়বে।
“ছানা পড়া : ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।”
এরপর দু’হাত কান পর্যন্ত তুলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত ছেড়ে দেবে।
তারপর আবার দু’হাত কান পর্যন্ত তুলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত ছেড়ে দেবে।
তারপর তৃতীয়বার দু’হাত কান পর্যন্ত তুলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে নেবে।
তারপর ইমাম সাহেব ‘আউযুবিল্লাহ’ ‘বিসমিল্লাহ’ ‘সূরা ফাতিহা’ ও অন্য একটি সূরা পড়ে রুকু করবেন।
>> দ্বিতীয় রাকাআত : এরপর দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে বিসমিল্লাহসহ ইমাম সাহেব কিরাত পড়বেন “আলহামদু ও অন্য একটি সুরা পড়বে ।
মূলত – বিসমিল্লাহ পড়া
– সুরা ফাতেহা পড়া
– সুরা মিলানো।
সুরা মিলানোর পর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেয়া।
অতিরিক্ত এই ৩ বার তাকবির এর সময় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত ছেড়ে দেবেন। তারপর হাত না উঠিয়ে চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে যাবেন (ঈদের নামাযে রুকুর এই তাকবির ওয়াজিব) এই ভাবে ঈদের নামায পড়তে হবে ।
এরপর সেজদা আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
খুতবা =>
ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবে আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবে। ইমাম সাহেব সরাসরি মিম্বারে না বসে দাঁড়িয়ে খুতবা পাঠ শুরু করবেন।
পরপর দুই খুতবা পাঠ করবেন এবং মাঝখানে তিন আয়াত পড়া যায় এতটুকু সময় পরিমান বসবেন, এই বসা সুন্নাত। [ সুত্র=> দুররে মুখতার ১/৭৭৯ পৃষ্ঠা ]
এ নিয়মে ঈদুল ফিতরও আদায় করা হয়। উভয় ঈদের আগে-পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইক্বামতেরও প্রয়োজন হয় না।
ঈদের দিন মুমিন মুসলমানের গুরুত্বপূর্ণ করণীয় কিছু বিশেষ আমলঃ
১. মিসওয়াক ও গোসল করা
২. উত্তম পোশাক পরিধান
৩. নামাজের আগে কিছু না খাওয়া
৪. ঈদগাহ থেকে ফেরার পথে রাস্তা পরিবর্তন করা
৫. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া-আসা
৬. ঈদগাহে যাওয়া-আসার পথে তাকবির বলা
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر وَ للهِ الْحَمْد
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
৮. শিশুদের ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া
৯. ঈদগাহে নামাজ আদায়
১১. ঈদের দিন কবর জিয়ারত করা উত্তম
Thanks to everyone for visiting our website! You can visit our website first to get all the information related to education. Every day we publish education information as well as job news, results, routines, admission information, assignments, success stories, and necessary information of daily life. If you want to connect with us on Facebook, visit: Page: ক্যাম্পাস প্রতিদিন and Group ক্যাম্পাস প্রতিদিন।